পাখির নাম প্রসঙ্গে একবার লিখেছিলাম। পাখির জগতে নাম সাধারণতঃ ওই ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’ টাইপের কিছু হয়না। সত্যিকারের পদ্মকুঁড়ির মতন আয়ত নেত্র হলেই নাম পদ্মলোচন হতে পারে। মানে সেই অমুক ক্যাপড, তমুক উইংড, তমুক থ্রোটেড, অমুক বিলড ইত্যাদি। শারীরিক বৈশিষ্ট্য নামের মধ্যে উপস্থিত থাকে সাধারণভাবে। অনেকটা আমাদের গজানন বাবুর মতন। গজানন মানে গজের(হাতির) মতন আনন(মুখ) যাঁর। তিনশো তেত্রিশ কোটি দেবতার মধ্যে একেবারে ইউনিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য। নাম শুনেই চেহারার আন্দাজ পাওয়া যায় বা চেহারা দেখে নামকরণ করা যায়।
ভনিতা হলো, এবার আসল কথায় আসা যাক। ঠোঁটের রক্তাভ রঙের কারণে এই পাখির নাম ‘রেড বিল্ড’ লিওথরিক্স। এই ছোট্ট পাখি হিমালয়ে দেখা যায়, দেখতে বেশ সুন্দর, রঙ্গীন সুতোর মতন ডানার পালক, লাল ছোট্ট ঠোঁট। নোংরা জিনিসও খায় এবং শুকনো ডাল-পালার ভিতরে থাকে। বেশ ছটফটে পাখি। পরীক্ষায় দেখা গেছে এদের রক্তে পাখিদের একজাতীয় ম্যালেরিয়ার জীবাণুর উপস্থিতি।
সিকিমে প্রথম দেখেছিলাম, কিন্তু এই ছবি সাত্তালের। ট্রেলের ভিতরে একজায়গায় পাখি আসার অপেক্ষায় বসে ছিলাম, সেখানে কয়েক সেকেন্ডের জন্য এসে বসেছিল বেশ দূরত্ব রেখে।
0 comments on “Red-billed leiothrix”Add yours →